Hegemonic Stability Theory


আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে hegemonic power এর ভূমিকা বুঝার জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ তত্ত্ব হলো Hegemonic stability theory.এই তত্ত্বের মূল কথা হলো একটি hegemonic state থাকবে যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।এই তত্ত্বটি যাদের দ্বারা উন্নতি লাভ কররেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো Modelski,Gilpin & Keohane প্রমুখ।
প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় hegemon হচ্ছে সেই রাষ্ট্র, যেটি অন্য রাষ্ট্রগুলোকে নেতৃত্ব দেয়ার সামর্থ্য ও ইচ্ছা রয়েছে।HST এর মতে,একটি রাষ্ট্র যখন Hegemon থাকে তখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীল থাকে।
Hegemon হওয়ার পূর্বশর্তসমূহঃ
১.আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নিয়মগুলো জোরদার করার সক্ষমতা থাকা।
২.নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা থাকা।
৩.আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া।
একটি রাষ্ট্র সক্ষম হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়ে আধিপত্য থাকতে হবে-
১.একটি বিশাল উৎপাদনশীল অর্থনীতি।
২.রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে।
৩.সামরিক শক্তিতে আধিপত্য থাকা।
Krasner মনে করেন,আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাতে Hegemonic power এর উপস্থিতি অন্যান্য রাষ্ট্রের বাণিজ্য উন্মুক্তকরণের সুবিধা গ্রহণের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
যার ফলে Hegemonic power এর উপস্থিতিতে বিশ্বায়ন আরো বেশি ত্বরান্বিত হয়।
আমেরিকাHegemon হিসেবে উৎপত্তিঃ
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর তথা ১৯৪৫ সাল থেকে আমেরিকা Hegemon হিসেবে আবির্ভূত হয়।কেননা ২য় বিশ্বযুদ্ধে গ্রেট ব্রিটন তার পরাশক্তি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।সেই সময় বিশ্ব পরাশক্তি হওয়ার একমাত্র সামর্থ্য ছিল আমেরিকার।সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সেই সময় শক্তিশালী ছিল যেটি আামেরিকার জন্য counter hegemon হিসেবে বিবেচিত হতো।আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কাঠামো নির্ধারণের অন্যতম নির্ধারক হলো রাজনৈতিক ক্ষমতা,অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি।২য় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা,রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আমেরিকাকে বিশ্ব পরাশক্তি হিসেবে দাড় করায়।১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যর সমাপ্তি ঘটে।আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন দুই শক্তির মোকাবিলায় স্নায়ু যুদ্ধের জয়ের মাধ্যমে আমেরিকা বিশ্ব পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বকে শাসন করে আসছে।

Comments